,

সয়া প্রোটিনের ৩ ক্ষতিকর দিক

সময় ডেস্ক : প্রোটিনের ঘনত্ব এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম হওয়ায় সয়া প্রোটিন খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। সয়া প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। বিশেষ করে নিরামিষভোজীদের জন্য। যারা ডিম, মাংস, দুগ্ধজাত খাবার এবং অন্যান্য প্রাণী-ভিত্তিক খাবার খায় না। সয়া প্রোটিনের খণ্ডগুলো চর্বিমুক্ত সয়া ময়দা থেকে তৈরি করা হয়। মূলত সয়া বীজ থেকে তৈরি করা হয়। এতে প্রচুর প্রোটিন থাকে।
টিস্যুর বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণ, হরমোনের ভারসাম্য, শক্তি প্রদান, হাড়, পেশী, তরুণাস্থি এবং ত্বক তৈরি করা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদনের জন্য প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। সুতরাং নিয়মিত সয়া প্রোটিনের খন্ড খাওয়া নিরামিষভোজীদের প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে। সয়া প্রোটিনের উপকারিতা অনেক। তবে এটি খুব বেশি খেলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ভারতের পুষ্টিবিদ রাশি চৌধুরী সয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি জানান-
১. সয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জিনগতভাবে পরিবর্তিত হয়- সয়াবিন বা সয়া ফসলের ৯০ শতাংশ জিনগতভাবে পরিবর্তিত হয় (জিএমও)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত জুড়ে ৯০ শতাংশের বেশি সয়াবিন জিএমও। বায়ু এবং পোকামাকড় দ্বারা ক্রস-পরাগায়নের কারণে, অবশিষ্ট ১০শতাংশ যে জিএমও নয় এর নিশ্চয়তা নেই। জিএমও বলতে বুঝায় ‘জিনগতভাবে পরিবর্তিত জীব (জিএমও)। ’ যেখানে উদ্ভিদ বা জীবাণু বা প্রাণীর ডিএনএ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল ব্যবহার করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
২. সয়া প্রোটিনের খণ্ডগুলো প্রক্রিয়াজাত করা হয়- প্রসেসড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ভালো নয় আমরা সবাই জানি। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার প্রোটিনের বড় উৎস হওয়াটা ঠিক নয়। কারণ প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরে প্রদাহের কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত প্রোটিন পেতে প্রাকৃতিক অপ্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে ভালো।
৩. সয়া হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে- এটি খুব বেশি করে খেলে। যেমন সপ্তাহে ৪ বারের বেশি খেলে থাইরয়েডের সমস্যা করতে পারে। সয়া পণ্য আইসোফ্লাভোন থাইরয়েড রোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়ায় এবং পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরন।
কিছু উপাদান যা সয়া এবং সয়া থেকে তৈরি পণ্যগুলোতে প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। সয়া পরিমিতভাবে খেলে এ ধরনের অসুবিধা এড়ানো সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন এর গবেষণা থেকে এই তথ্য জানা যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর